বিশেষ প্রতিবেদক:
অস্ত্র দিয়ে এলাকায় আতংকসৃষ্টি ও সংবাদকর্মী সাইফুল আলম বাদশাকে হামলার দায়ে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার চিহিৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য নুর মোহাম্মদ উরফে সোহেলের ২ বছরের সাজা হয়েছে। সংবাদকর্মী সাইফুল আলম বাদশা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও অবৈধ অস্ত্র দিয়ে এলাকায় আতংকসৃষ্টির দায়ে দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় আদালত ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেলকে এই সাজা দেন।

সাজা হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেলের। কিন্তু সে পলাতক থাকলেও বাদি পক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে তার পরিবার। এরই অংশ হিসেবে ওই মামলার বাদি বাদশার ভাই মোরশেদ আলমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে সাজাপ্রাপ্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেলের পরিবার।

সংবাদকর্মী সাইফুল আলম বাদশা জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেল একজন চিহ্নিত মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। এর প্রতিবাদ করায় বাদশা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায় সোহেল। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোহেল সাজাপ্রাপ্ত হলে বাদি পক্ষের পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি- ধমকি দিয়ে আসছে সোহেলের পরিবার। সাজাপ্রাপ্ত সোহেলের পরিবার বাদির ভাই মোরশেদ আলমকে মিথ্যা মামলা জড়ানোর হুমকি দেয়। সোহেলের পরিবার তার বোনকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়ায় গত ২৪ শে অক্টোবর কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধার ডায়েরি করে। এরই অংশ হিসেবে সংবাদকর্মী সাইফুল আলম বাদশার ভাই ওই মামলার বাদি মোরশেদ আলমকে আসামী করে নারী নির্যাতন আইনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সাজাপ্রাপ্ত সোহেলের বোন রুমিকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ তোলে তার মা হামিদা বেগম বাদি হয়ে কক্সাবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৩০ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেছেন।

সাইফুল আলম বাদশা বলেন, রুমির হাতে কয়েকটি ব্রেলেইটের কাটার দাগ রয়েছে। তবে এটা কাটার কারণ হলো, ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেলের শেলক সেলিমের সাথে রুমির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সোহেলের শেলক সেলিমের সাথে মারামারি দিয়ে রুমি নিজের হাতে ব্রেলেইট দিয়ে আঘাত করে। এই আঘাতকে পুঁজি করে আমাদের ঘায়েল করতে আদালতে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে এলাকার শান্তি ও শৃংখলা রক্ষার্থে ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেলের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়ায় মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দায়ের করায় এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। এই মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে তারা আদালতে কাছে আবেদন জানিয়েছেন।